সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ শে আগস্ট) গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কোন মামলায় আরাফাতকে আটক করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য ৪৭ জনের সঙ্গে মোহাম্মদ আলী আরাফাতও আসামি। এছাড়াও একই রকম আরও কয়েকটি মামলায়ও অন্যদের সঙ্গে তাকে আসামি করা হয়েছে।
আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে কাজ করছেন। আগে বিভিন্ন টেলিভিশন টকশোতে দলের হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। তিনি জুলাই ২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমকে (হিরো আলম) হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হলে নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।